Credit Card
Credit Card

C Card:নতুন এই কার্ড করলে সব কৃষকরা পাবে ৬০০০/- হাজার টাকা

Credit Card
Credit Card

ভারতের সব কৃষকদের জন্য সুখবর , শুধু করতে হবে এই কাজ তাহলেই একাউন্টে মিলবে ৬০০০/- টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে, দেশজুড়ে প্রত্যেক কৃষককে দেওয়া হবে একটি ডিজিটাল কৃষক পরিচয়পত্র যাকে বলা হচ্ছে ফর্মার্স আইডি কার্ড (Farmer ID Card)।

আইডি কার্ডের নাম শুনে ঘাবড়ে যাবেন না, এই আইডি কার্ড টা অনেক দূরে নয়, আপনি নিজের বাড়িতে বসেই করতে পারবেন , কিভাবে হবে এই কার্ড জানতে পুরোটা পড়ুন   এই কার্ড একটি পরিচয় পত্র নয় , , এই কার্ডটি থাকলে কৃষকের মিলবে একাধিক সুযোগ-সুবিধা । 

Farmer Id Card সম্পর্কিত তথ্য 

ডিজিটাল কৃষক আইডি: (Farmers Pension Fund)

আধার কার্ডের মত এটি একটি ডিজিটাল কার্ড , কৃষক আইডি কার্ডটি আধার-লিঙ্কড একটি ডিজিটাল আইডি হিসেবে তৈরি হবে। এর মাধ্যমে কৃষকদের জমির রেকর্ড, চাষের তথ্য, পশুসম্পদের বিস্তারিত এবং সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেতে অনেক সহজ হবে । 

কৃষকদের পূর্বে  কৃষি ঋণের জন্য দেওয়া হতো কৃষাণ ক্রেডিট কার্ড , যার জন্য কৃষককে দৌড়াতে হতো বিভিন্ন ব্যাংকে, আর কৃষককে কোথাও দৌড়াতে হবে না একটি কার্ডের মধ্যেই সমস্ত কিছু সুবিধা লিংক করা থাকবে , এই ফার্মাস আইডি কার্ডে একাধিক সুবিধা থাকবে যেমন কৃষক ক্রেডিট কার্ড কিষান সম্মান নিধি  প্রভৃতি , আগে এই সমস্ত সুবিধাগুলো নিতে গেলে বিভিন্ন রকম প্রক্রিয়ার আদান-প্রদান করতে হতো, এখন এটি সহজসাধ্য ।

কৃষকের পরিচয় পত্র :

একটি একীভূত সিস্টেম একটি প্লাস্টিক কার্ডের বদলে কৃষকদের জন্য এই পরিচয়পত্রটি হবে একটি ডিজিটাল সিস্টেমের অংশ, যা মোবাইল বা আধার কার্ড দিয়ে সহজেই অ্যাক্সেস করা যাবে। কৃষকরা সহজেই জানতে পারবেন তাদের জমির বর্তমান অবস্থা, ফসলের বাজার মূল্য, এবং অন্য যেকোনো তথ্য যা তাদের কৃষি কাজের সুবিধার্থে সহায়ক হতে পারে। এছাড়া, কৃষকরা ন্যূনতম সহায়তা মূল্য (MSP) বা অন্যান্য সরকারি সুবিধার জন্য আবেদন করতে পারবেন খুব সহজে। এটি কৃষকদের জন্য সময় এবং শক্তি সাশ্রয়ের পাশাপাশি তাদের সুবিধা আরও দ্রুত সরবরাহ করবে।

 

২০২৭ সালের মধ্যে কৃষকের লক্ষ্য পূরণঃ

 

 

 

কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য হল ২০২৭ সালের মধ্যে একাধিক কৃষককে এই কার প্রদান করা , আনুমানিক  ১১ কোটি কৃষককে এই ডিজিটাল পরিচয়পত্র প্রদান করা। ইতিমধ্যে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, এবং উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা এই পরিচয়পত্র পেতে শুরু করেছেন, এই সমস্ত রাজ্যে যে সমস্ত কৃষকরা  এখনো পর্যন্ত আইডি করেনি , তারা বর্তমানে আইডি করার দিকে ঝুকছে ,   তবে আসাম, ছত্তীসগড়, ওড়িশায় এই প্রকল্পটি এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে।

বিভিন্ন ধরনের নিত্য নতুন খবর আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে নিচে দেওয়া লিংকে আমাদেরকে সাথে যোগ দিন 

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপJoin Group
আমাদের টেলিগ্রামJoin Here

শিবিরের মাধ্যমে সহজ আবেদনঃ 

কৃষক আইডি কার্ড তৈরি করার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে শিবির আয়োজন করা হবে, সরকার থেকে যেভাবে আধার কার্ড বানানো হয়েছে ঠিক একই রকম ভাবে কৃষকদেরও এই আইডি কার্ড বানানোর জন্য বিভিন্ন জায়গাতে শিবির করা হবে ।  এতে রাজ্যগুলোকে প্রতি শিবির পরিচালনার জন্য অনুদান দেওয়া হবে এবং প্রতি আইডি তৈরির জন্য কিছু প্রণোদনা অর্থ প্রদান করা হবে। কৃষকদের জন্য এই প্রক্রিয়াটি হবে খুবই সহজ, দ্রুত এবং কার্যকরী।

ডিজিটাল কৃষক ডকুমেন্ট ভান্ডার 

দেশের কোনায় কোনাই প্রত্যেকটি কৃষকের এই আইডি কার্ড তৈরি হলে সরকারের কাছে কৃষকদের একটি বিশাল তথ্যভাণ্ডার তৈরি হবে যেখানে কৃষকদের জমি ফসল অন্যান্য তথ্য থাকবে ।  কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক “কৃষক রেজিস্ট্রি” বা অ্যাগ্রি স্ট্যাক নামক একটি বিশাল তথ্যভান্ডার তৈরি  করতে সক্ষম হবে  ।  এটি দেশের প্রতিটি কৃষককে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করবে, যেখানে তারা সহজেই সরকারি প্রকল্প এবং সহায়তার সুযোগ পাবেন।

 

ভবিষ্যতের পদক্ষেপ (Agriculture Pension Fund)

এই ডিজিটাল কৃষক আইডি প্রকল্পটি ভারতের কৃষকদের জন্য প্রযুক্তির মাধ্যমে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে । কৃষকদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একটি সম্ভাব্য ধারণা থাকবে সরকারের কাছে । 
এটি শুধু একটি আইডি কার্ড নয়, বরং একটি আধুনিক ও শক্তিশালী সরঞ্জাম হিসেবে কৃষকদের জন্য আরও উন্নত জীবনযাত্রার সূচনা করবে। 

সরকার কৃষকদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন করবে, যা একদিকে কৃষি খাতকে শক্তিশালী করবে, অন্যদিকে কৃষকদের আয়ের উন্নতি ঘটাবে।

৬০০০ টাকার প্রদান

কৃষক আইডি কার্ডের মাধ্যমে কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের আওতায় ৬০০০ টাকা করে বার্ষিক আর্থিক সাহায্য পেতে সক্ষম হবেন।
এটি কৃষকদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সহায়তা, যা তাদের দৈনন্দিন কৃষি কাজকে আরও সুগম করবে। ডিজিটাল কৃষক আইডি প্রকল্পটি দেশের কৃষি খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। এটি কৃষকদের জন্য সুযোগ ও সুবিধা নিয়ে আসবে, যা তাদের উৎপাদন ক্ষমতা, আয়ের উৎস এবং জীবনযাত্রা আরও উন্নত করবে।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *