Benefit of fish
Benefit of fish

Benefit of fish| মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা

Benefit of fish

Benefit of fish, বাঙালির প্রধান খাদ্য মাছ ভাত হিসেবেই আমরা  জানি । দুপুরে খাবারের সময় মাছ বাঙালির খুবই প্রিয় খাদ্য হিসেবে গণ্য । মাছটা অনেক রকমের হয়। কিন্তু আমাদের কি জানা আছে কোন মাছ ধরনের উপকার ও অপকার রয়েছে ।

 

স্বাদু জলের মাছ ও সমুদ্র জলের মাছ দুই ধরনের  মাছের পাশাপাশি, নদীর কিংবা পুকুরের মাছ রয়েছে আমাদের খাদ্য তালিকায়। মাছ খাওয়ার একাধিক উপকারিতা আছে। আবার অপকারিতাও আছে কিছু। বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে মাছ খাওয়ার উপকারিতা কি কি ও অপকারিতা গুলি কি কি ? 

 মাছ খাওয়ার উপকারিতা

১. সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে এবং চোখের রেটিনার কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং সার্বিক ভাবে দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে।

এ ছাড়া মানুষের ডিমেনশিয়া বা অ্যালঝাইমারের মতো রোগ অনেকটাই কম হয়,  আমাদের প্রত্যেককে শরীরের ডিএইচএটি এসিড খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ,রোজ রোজ সামুদ্রিক মাছ খেলে শরীরে ডিএইচএ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যা স্মৃতিশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করে।

২. বিভিন্ন ধরনের সামগ্রিক মৎস্য গুলির মধ্যে ইলিশ হেরিং মেকারেল অন্যতম। এগুলোতে আছে প্রচুর মিনারেল, ভিটামিন, জিঙ্ক ও আয়োডিন। জিঙ্ক মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ  ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও আয়োডিন রক্তে লবণতা পরিমান ঠিক রাখে ও গলগণ্ড রোগ প্রতিরোধ করে। 

৩. অনেক মানুষেরই বিভিন্ন ধরনের নার্ভের সমস্যা থাকে , যেমন বলতে গেলে অনেক মানুষের নার্ভ দুর্বল হয়, অল্প কিছুতেই প্রচুর মানুষ মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়ে , অনেকেরই নানা ধরনের নার্ভের রোগ থাকে সামুদ্রিক মাছ খেলে এই ধরনের রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে । 

৪. সামুদ্রিক মাছের শরীরে যে তৈলাক্ত পদার্থ থাকে তা সহজে পরিপাকযোগ্য। এ ছাড়া মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায়। এটি ভিটামিন বি-এর উৎকৃষ্ট উৎস।

৫. মাছে প্রচুর সিলেনিয়াম রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ।  স্যামন, ম্যাকরেল মাছ থেকে ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-ডি পাওয়া যায়। ভিটামিন ই এর চাহিদা মেটায় যাতে মানুষের রাতকানা রোগ হবার সম্ভাবনা ও কমে যায় ।

৭. সামুদ্রিক মাছ ডায়েট অনুসরণ করে তাই এই ধরনের মাছ খেলে প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কমে । 

৮. সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-ডি থাকে। যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই হৃদরোগে আক্রান্ত ও মধুমেহ (ডায়াবেটিস) রোগীদের জন্য সামুদ্রিক মাছ উপকারী।

মাছ খাওয়ার সময় যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে

১. অনেক দেশে কাঁচা মাছ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে।  তবে আমাদের দেশের যে জলবায়ু সেই জলবায়ুতে আমরা কাঁচা মাছ খেলে আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক ,কাঁচা মাছ খেলে ক্ষতির আশঙ্কাই অনেকটাই বেড়ে যায়।

যাদের পাকস্থলী দুর্বল তাদের কাঁচা মাছ পেটে হজম হওয়া খুবই কষ্টদায়ক , তাই পেট ব্যথা হতে পারে, কিছু ক্ষেত্রে কাঁচা মাছে জীবাণু থাকতে পারে, যা মানুষের স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

২. মাছে প্রচুর পরিমাণে প্রাণিজ প্রোটিন রয়েছে  । কোকিল আমাদের শরীরের অবশ্যই দরকার । তবে সেটি পরিমাণ মতো । আমাদের শরীরের যে কোনো জিনিসই অতিমাত্রায় হলে সেটি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকার ।

তাই বেশি মাত্রায় মাছ খেলে মানুষের শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বেড়ে যায় যা থেকে আমাদের শরীরের নানা অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে । বয়সের সাথে ওজনের সামঞ্জস্য মানুষ হারিয়ে ফেলবে যার ফলে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হবে । 

৩. রোজ দু’বেলা মাছ খাওয়া খারাপ নয়। তবে ডিপ ফ্রাই করে মাছ রান্না করা চলবে না। 

৪. সম্প্রতি এক গবেষণায় পাওয়া গেছে সামুদ্রিক মাছ যেমন মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো তখন সামুদ্রিক মাছের কিছু জীবাণু থাকে এই জীবাণু মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে মানুষের শরীরে নানা রোগ দেখা যেতে পারে , তাই কোন বাইরে রেস্টুরেন্টে বা রেস্তোরাঁ গেলে , মাছ খেলে সাধু জলের ছোট মাছ খান , যাতে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি অনেক কম । 

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *