
সৌন্দর্য্যের কোনও মাপকাঠি হয় না। ফর্সা, কালো সব মানুষই তাঁদের নিজেরদের মতো করে সুন্দর।
ত্বকের উজ্জ্বলতা হারানোয় অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকেন।তবে ত্বককে উজ্জ্বল করতে চান কমবেশি সকলেই।আমাদের ত্বক নিস্তেজ হওয়ার মূল কারণ হলো অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা।তবে কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যার মাধ্যমে আপনার ত্বক সেই উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে পারে।
Table of Contents
Toggleহলুদ:
রূপচর্চায় আদিযুগ থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে হলুদ। ত্বকের হাজার সমস্যা মেটাতে হলুদ এর কোনো বিকল্প নেই। নিয়মিত হলুদ ব্যবহার করলে আপনি অনেক উপকার পাবেন।অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ হলুদ ত্বকে ব্রণ, রেশ ভালো করতে সাহায্য করে।এছাড়া হলুদ ত্বকের কালো দাগ স্পট দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরাতে সাহায্য করে। তাই নিজের ত্বকের যত্ন নিতে সপ্তাহে এক থেকে দু’দিন হলুদ বেটে অবশ্যই লাগান।

টমেটো:
বর্তমান সময়ে প্রখর রোদের জন্য ত্বকে ট্যান পরে ত্বক কালো হয়ে যায়, ফলে ত্বক কালো দেখায়।এই সান ট্যানের সমস্যা মেটাতে টমেটো ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। এছাড়া টমেটোতে রয়েছে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট এজেন্ট, এটি রোমকূপ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে শুধু তাই নয় টমেটোতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগ , যেমন বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন ই, সি ও লাইকোপেন,এই লাইকোপিন ত্বকের ট্যান তুলে ত্বককে ঝকঝকে করে দেয় এবং এটি ত্বকের উপর জ্বালাভাব থেকে রেহাই দিতেও সাহায্য করে।

অ্যালোভেরা:
অ্যালোভেরা জেল যে কোনো ত্বকের জন্য উপযোগী।অ্যালোভেরাতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের ট্যান দূর করে উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ফুসকুড়ি ও ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ত্বকের উপর অ্যালোভেরা মাখলে এটি ত্বকের প্রদাহ কমায়, ত্বকের ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। রোদ থেকে ফিরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে প্রায় 15 থেকে 20 মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন দেখবেন আপনার ত্বক হয়ে উঠেছে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।
ব্যাসন:
ত্বকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ব্যাসনও।ব্যাসন ব্যবহারে মুখে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসে,
এছাড়া ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে।তবে যাঁদের ত্বকে শুষ্ক প্রায় সবসময় ত্বক খসখসে হয়ে থাকে তাঁরা শুধুমাত্র ব্যাসন ব্যবহার না করে এতে কয়েক ফোঁটা মধু ও এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন।
ব্যাসন ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে।
গভীরভাবে ত্বকের ছিদ্রে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে প্রাকৃতিক ভাবে ত্বকের সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে আনে।
এইভাবে প্রায় সপ্তাহ খানেক ব্যাসন লাগলে ত্বকের পরিবর্তন নিজেরাই দেখতে পাবেন।
টকদই:
এছাড়া ত্বকে উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন টকদইও। দই প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে এছাড়া দই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসাবেও কাজ করে ত্বক আর্দ্র আর কোমল করে তুলে মুখের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।এতে ত্বক পরিষ্কার হয়। শুধু তাই নয় দইয়ের আরও উপকারীতা আছে এটি ত্বকের টানটান ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে,ত্বকের কালো দাগ-ছোপ দূর করে মুখের জেল্লা ফিরিয়ে আনে
টকদইয়ের মধ্যে মধু যোগ করে মুখে লাগান। ফল পেতে বাধ্য।
মধু:
ত্বক উজ্জ্বল করে তোলার আরো একটি উপাদান হল মধু। এটি শুষ্ক ও তৈলাক্ত দুই ধরনের ত্বকের জন্যই উপকারী।মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিসেপ্টিক এবং ব্যাক্টেরিয়ারোধী উপাদান ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে এছাড়া মধুতে আন্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ত্বকের ক্ষতিকে রক্ষা করে।
ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে,ত্বকের জেল্লা বাড়াতে পাশাপাশি ডার্ক স্পট কমাতে মধুর জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া মধু লোমকূপ উন্মুক্ত করে , বিরক্তিকর ব্ল্যাকহেডস থেকে দূরে রাখার পাশাপাশি এটি সারাদিন ত্বক আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
