Primary Teacher news
Primary Teacher news

Primary New Recruitment : ৮০০-র বেশি শূন্যপদে ২ মাসের মধ্যে নিয়োগ

Primary Teacher news

Primary Teachers Recruitment:  এসএসসি দুর্নীতিতে কলকাতা হাইকোর্টের রায় নিয়ে এখনও তোলপাড় রাজ্য। এরই মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা প্রাথমিক নিয়োগে সুখবর। ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৮৬৭ শূন্যপদে ২ মাসের মধ্যে চাকরি দিতে নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা’র। 

৮৬৭-রও বেশি প্রার্থী ১৫ বছর পর চাকরি পেতে চলেছেন। ২০১২ সালে শুরু হওয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবশেষে চাকরি। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ অনুসারে বলা হয় ২ মাসের মধ্যে নিয়োগ দিতে হবে । ২০২৪ সালে  ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত হাইকোর্টে যে সমস্ত প্রার্থী মামলা করেছে তাদের  সবার নথি  যাচাই করে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ। এমন কি মামলাকারীদের নথি  কতটা সঠিক সেই দিকেও নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন । 

 ২০০৯ সালে তৎকালীন বাম আমলে প্রাথমিকে নিয়োগের যে  বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল তার ভিত্তিতে ২০১০ সালে পরীক্ষা হয়। পরের এক বছরের মধ্যে বেশিরভাগ জেলার নিয়োগ সম্পূর্ণ হয়ে গেলেও চারটি জেলায় নিয়োগ হয়নি। ওই জেলা গুলিতে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও মালদা ছিল তালিকায় । যা নিয়ে মামলা গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টে। 

প্রসঙ্গত, গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের কথা ঘোষণা করেছে। কোর্টের রায় বেরনোর সঙ্গে সঙ্গেই  স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে।

বৃহস্পতিবার ফের সাংবাদিক বৈঠক করে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার দাবি করেন, তাঁরা তিনটি হলফনামা জমা করে  আদালতে জানিয়েছেন, ২৫,৭৫৩ জনের মধ্যে মাত্র প্রায় ৫ হাজার ৩০০ জনের মতো অযোগ্য ছিলেন ওই তালিকায়।

লোকসভা ভোটের মুখে, যখন গোটা রাজ্য  এনিয়ে তোলপাড়, তখনই এস এস সি দুর্নীতির সংক্রান্ত রায় দেয় কোলকাতা হাইকোর্ট ।  টাকা দিয়ে চাকরি কেনাদের পাশাপাশি, যারা খেটে পড়াশোনা করে, চাকরি পেয়েছেন তাঁদেরও রুটি-রুজি  চলে গেছে। হঠাৎ করে চাকরি হারিয়ে অথৈ জলে পড়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে উত্তর ২৪ পরগনার প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর। একাধিক আইনি জটিলতায় পেরিয়ে প্রায় ১৫ বছর পর নিয়োগ করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট ।

২০০৯-এর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৮০০ বেশি শূন্যপদে ২ মাসের মধ্যে চাকরি দিতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এই বছরের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত যাঁরা হাইকোর্টে মামলা করেছেন, তাঁদের প্রত্যেককে চাকরি দিতে হবে। মামলাকারীদের নথি যাচাইয়ের পর প্রস্তুত করতে হবে তালিকা। সেই তালিকা থেকেই চাকরি দিতে হবে। অর্থাৎ, ১৫ বছর পর চাকরি পেতে চলেছেন ৮০০-র বেশি চাকরিপ্রার্থী।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *