
Headache বর্তমানে মাথা ব্যথা সমস্যা কমবেশি সকলের।আর এই মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই প্যারাসিটামল বা বেদনানাশক ওষুধ খাচ্ছেন। যখন-তখন ওষুধ খাওয়া শরীরের পক্ষে মোটেই ভালো নয়। তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে মাথা ব্যথা কমাতে অবশ্যই লেখাটি পড়ুন।
Table of Contents
Toggleআদা:
ঘরোয়াভাবে এই মাথা ব্যথা বা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আদা রস খান।আদা খেলে মাথা ব্যথা কমে পাশাপাশি শরীরে শিরা-উপশিরায় রক্ত সঞ্চালনও ঠিকমতো হয়।অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগ ভরপুর আদায়।আদার মধ্যে রয়েছে ব্যথা উপশমকারী বৈশিষ্ট্য ।
আপনি আদাকে চা এর সঙ্গে পান করতে পারেন , অর্থাৎ চা খাওয়ার সময় চায় এর মধ্যে দুই কচি আদা খেলে সেই জলকে ফুটিয়ে আপনি চা এর মত চুমুক দিয়ে পান করতে পারেন।এছাড়া আদার সঙ্গে অল্প একটু লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। মাথা যন্ত্রণার ফলে রক্তবাহিকাগুলিতে যে প্রদাহ হয়, তা কমাতে সাহায্য করে আদা।
গরম জলের ভাপ:
মাথা ব্যথা কমাতে গরম জলের ভাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।কপালের মাঝে সাইনাস গ্রন্থিতে সর্দি জমলে তা সহজে বাইরে বার করে আনতে সাহায্য করে গরম জলের বাষ্প। আইনাক্স এর মধ্যে কফ জমে থাকলে মস্তিষ্কের শুরু শিরা-উপশিরায় অক্সিজেন সঠিকভাবে পৌঁছাতে পারে না ।
সেক্ষেত্রে মাথা ভার হয় , এবং অস্বস্তি অনুভব হয় । এই মুহূর্তে গরম জলের বাষ্পকে নাক দিয়ে বা মুখ দিয়ে টানলে মস্তিষ্কের শিরা-উপশিরায় জমে থাকা কফ গুলি তরলে পরিনত হয় এবং সেই কাপ বাইরে বেরিয়ে আসে ফলে শরীর সুস্থ অনুভূত হয় ।
মাথা ভার হয়ে থাকলে কিংবা মাথার এক পাশে যন্ত্রণা হলে বা সাইনাস টিস্যুর প্রদাহজনিত সমস্যায় গরম জলের বাষ্প ম্যাজিক এর মত কাজ করে। এ ছাড়া বন্ধ নাক খুলতেও সাহায্য করে।
ডাক্তার এর পরামর্শে গরম জলের সাথে কার্বল প্লাস ট্যাবলেট ব্যবহার করতে পারেন।ঠান্ডা লেগে অনেকেরই গলায় ইনফেকশন হয় সেইক্ষেত্রে কেটলিতে গরম জল নিয়ে সেই ভাপ মুখে টানলে গলার সমস্যা দূর হয়।
কালোজিরা:
কালোজিরা কে হয়তো আমরা মসলার কাজে ব্যবহার করি , কিন্তু এর গুরুত্ব হয়তো অনেকেই জানেনা । কালোজিরা খাদ্যাভাসের ফলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তেমনই মাথা ব্যথা কমাতেও কালোজিরা ভীষণ উপকারী।কালোজিরা থেঁতো করে একটি পরিষ্কার কাপড়ে নিয়ে পুঁটলির মতো করে বেঁধে নিয়ে মাঝে মধ্যেই নাকের কাছে ধরে, গন্ধ শুঁকতে থাকুন দেখবেন অনেকটা আরাম পাবেন।
লবঙ্গ:
লবঙ্গ একপ্রকারের শুকনো ফুল , মাথা ব্যথা কমাতে লবঙ্গ ভীষণ উপকারী। দু চারটে লবঙ্গ চায়ের মধ্যে ফেলে সেই যাকে ফুটিয়ে লবঙ্গে রসকা চায়ের মধ্যে বেরিয়ে আসার পর তা খেলে মাথা ব্যথা থেকে অনেকটা মুক্তি মেলে। এ ছাড়াও লবঙ্গর গন্ধ শুকলেও মাথাব্যথা থেকে আরাম মেলে।লবঙ্গ থেঁতো করে একটি পরিষ্কার কাপড়ে নিয়ে পুঁটলির মতো করে বেঁধে নিয়ে মাঝেমধ্যেই নাকের কাছে ধরে, গন্ধ শুঁকতে পারেন অথবা লবঙ্গ ভেঙে নিয়ে হাতে ঘষে গন্ধ শুঁকতে পারেন।লবঙ্গ খাওয়ার পাশাপাশি, স্মেল থেরাপিতেও এর ব্যবহার রয়েছে।
দারুচিনি :
প্রায় সবার রান্নাঘরেই মসলা হিসেবে দারুচিনি থাকে। এটি কেবলমাত্র মসলা হিসেবেই ব্যবহার করা হয়না। প্রাচীনকাল থেকে ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার হয়ে আসছে এই উপাদানটি। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই মশলাটির গন্ধে স্নায়ুর প্রদাহ কমে।প্রথম কয়েকটি দারুচিনি নিয়ে ভালোভাবে গুঁড়ো করে জলের সঙ্গে মিশিয়ে বেঁটে নিয়ে কপালে লাগান।
কিছুক্ষণ পর কুসুম কুসুম গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলার ফেলুন,নিজেই উপকারিতা বুঝতে পারবেন। এছাড়াও দারুচিনি গুঁড়ো দিয়ে চা খেলে বা দারুচিনির তেল মাথায় মালিশ করলে মাথাব্যথা অনেককাংশেই কমে যায় ।
দারুচিনি গুঁড়ো দিয়ে চা খেলে বা দারচিনির তেল মাথায় মালিশ করলে মাথাব্যথা কমে যায় অনেকটাই। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই মশলাটির গন্ধে স্নায়ুর প্রদাহ কমে।
বি দ্রঃ উপরোক্ত তথ্যটি মাথাব্যথা কমানোর ঘরোয়া টোটকা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা সম্পর্কে আলোচনা মাত্র , মাথা ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে তাই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন ।