
তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেকেরই নানা ধরনের অসুখ হয়ে থাকে।এ সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত জল ঘাম হয়ে বের হয় যায় ফলে আমাদের শরীর দূর্বল হয়ে পরে।এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে অস্বস্তি, ডায়রিয়া, ফুড পয়জনিং সহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়।তাই এ সময় খাবার খেতে হবে সুষম ও পরিমিত।
Table of Contents
Toggleফলমূল:
1.শসা
শসার মাল্টি ভিটামিনস ও মাল্টি মিনারেলস প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে ।শসাতে উপস্থিত ভিটামিন ও মিনারেল শরীরের ভিটামিন ও মিনারেলসের অভাবজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। শসাতে শতকরা ৯৫ভাগ জল।
এটি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে পাশাপাশি শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা কে নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীর শীতল রাখতে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত শসা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
2.তরমুজ
গরমকালে তরমুজ সৃষ্টিকর্তার একটি আশীর্বাদ। তরমুজ শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। তরমুজে প্রচুর পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। তরমুজ পানীয় ফল কারণ তরমুজে রয়েছে ৯২ শতাংশ জল।
গরমের সময় মাত্রাতিরিক্ত ঘাম হওয়ায় শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায় ,যার ফলে শরীর ডিহাইড্রেড হয়ে পরে। তরমুজ এই জলের ঘাটতি দূর করে এবং শরীর ঠান্ডা রাখে।এতে আছে ভিটামিন ও খনিজ লবণ, যা এই গরমে শরীরের জন্য দরকার।
খাবার:
1. টক দই:
গরমকালে খুবই উপকারী খাবার হচ্ছে, টক দই। দই খাবার সহজে হজম করতে সহায়তা করে তাই পাকস্থলীকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন টকদই খাওয়া যেতে পারে।দইয়ের পটাসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও এতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে, যা শরীরকে স্বাচ্ছন্দ্যে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অতিরিক্ত গরমে খাবার শেষে সপ্তাহে দুইদিন টক দই খাওয়ার চেষ্টা করুন । যাতে খাবার পরিপাক খুব ভালো হয় এবং শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন শরীর থেকে বেরিয়ে যায় ।
2.সবুজ শাকসবজি:
এই ধরনের খাবারে ফাইবার এবং জলের মাত্রা খুব বেশি পরিমাণে থাকে।তাই প্রত্যেকদিন অল্প করে সবজি খেলে যেমন পুষ্টির চাহিদা জোগাবে, অপরদিকে শরীরে গরম কম অনুভব হবে।শরীরে জলের মাত্রা কমে যাওয়ার আশংকা কমে এবং শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে। অতিরিক্ত গরমে শাকসবজিতে গরম জলের সঙ্গে ফুটিয়ে সেটিকে হালকা পরিমাণে সুপ বানিয়ে খেলেও স্বাস্থ্যের জন্য অতিরিক্ত গরমে খুবই উপকারী ।
3.হালকা খাবার:
গরমকালে খাবার হজম হতে সমস্যা হয়। তাই এই সময় যতটা সম্ভব হালকা খাবার খাওয়াই ভালো। এতে পরিপাক ভালো হয় এবং শরীর সুস্থ থাকে। অনেকেই হয়তো রাত্রের দিকে বেশি মাত্রায় খাবার খায় , অতিরিক্ত গরমে রাত্রে খুব হালকা খাবার খেয়ে ঘুমালে সেটি হজম খুব ভালো হয় , যাতে শরীর সুস্থ থাকে । অতিরিক্ত গরমে বেশি ভারী খাবার খেয়ে ঘুমালে তার পরিপাকে সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের রোগে আক্রান্ত হতে পারে ।
4.পাতলা স্যুপ:
স্যুপকে বেশিরভাগ লোক মজা করে রোগীর খাবার বলে থাকেন। কিন্তু গরমের সময় একদম পাতলা করে সবজি স্যুপ খেলে তা শরীরের জন্য উপকারী।এতে শরীরের পুষ্টি বৃদ্ধি হয় সাথে জলের চাহিদাও পূরণ হয়।
গ্রীষ্মকালে যেহেতু অতিমাত্রায় শরীর থেকে ঘাম নিঃসরণ হয় , তাই সব সময় তরল জাতীয় খাবার খাওয়াই ভালো এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে যাতে শরীর ডিহাইড্রেট না হয়ে পড়ে । শরীর থেকে অতিমাত্রায় ঘাম নিঃসরণ হলে শরীর হাইড্রেট হয়ে পড়ে তাই হজম কম হয় সেক্ষেত্রে গ্রীষ্মকালে স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি জল খাওয়া প্রয়োজন ।
নিজের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের হেলথ টিপস পেতে আমাদের মেনু ট্যাবে স্বাস্থ্য বটন এ ক্লিক করুন