
Anmond nut: বাদাম খাচ্ছেন ভুল করছেন না তো ?
কাঠ বাদামে ৮০ শতাংশ চর্বি আছে। চর্বি হজম হতে অনেক সময় লাগে। তাই পরিমিত পরিমাণে এটি খাওয়া উচিত।বেশি পরিমাণে এটি খেলে বদহজম, পেট ফাঁপা এমনকি ডাইরিয়াও হতে পারে।তাই প্রতিদিন ২৮ গ্রাম বা আনুমানিক ৭-৮টি কাঠবাদাম খাওয়া যেতে পারে।
কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম নিম্নরূপ:
1.আমন্ড যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী৷ তবে সারারাত ভিজিয়ে রেখে তারপর তা খেলে শরীরের আরও উপকার হয়। কাঠবাদাম ভিজিয়ে খেলে এর পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়।কাঠ বাদাম শুকনোও খাওয়া যেতে পারে। তবে ভিজিয়ে খাওয়ার চেয়ে শুকনো বাদামের পুষ্টিগুণ কিছুটা কম থাকে।
2.বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাদাম হজম করা কঠিন। এই বাদামে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন এবং ফাইবার রয়েছে। ফলে বাদাম খেলে শরীর গরম হয়ে ওঠে। তাই বাদাম ভিজিয়ে খাওয়া বেশি ভালো। ভিজিয়ে রাখলে তাপ অনেকটা কমে যায়। এছাড়া ভেজানো বাদাম থেকে আপনার শরীর ফাইবার, প্রোটিন, বিটামিন ই, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস ইত্যাদি পুষ্টিগুণ সহজে শুষে নিতে পারে।
3.কাঠ বাদামের খোসায় থাকা ফাইটিক অ্যাসিড বা ট্যানিনের কারণে পুষ্টির শোষণ দমন হয় । তাই এই বাদাম খাওয়ার আগে খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার কথা ভুললে চলবে না।সেক্ষেত্রে কাঠবাদাম জলে ৮-১০ ঘণ্টা অথবাসারারাত ভিজিয়ে রাখতে পারেন এরফলে বাদামের উপরের ত্বক সহজেই তুলে নিয়ে খেতে পারবেন। এরফলে হজম তাড়াতাড়ি হবে এবং বদহজমের সমস্যা হবে না। এটি পুষ্টির শোষণেও সহায়তা করে।
4.অন্যান্য খাবারের সাথে মিশিয়েও এই বাদাম খাওয়া যেতে পারে। যেমন, সালাদ, স্যুপ, স্মুদি ইত্যাদিতে কাঠবাদাম যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। আবার অনেকেই শুকনো খোলায় আমন্ড ভেজে খেতে পছন্দ করেন।ভিজিয়ে খেতে অপছন্দ হলে শুকনো বাদামই গুঁড়া করে খেতে পারেন।
5.বাদাম ভিজিয়ে খেলে মস্তিষ্ক সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
6.উজ্জ্বল ত্বকের জন্যও ভেজানো বাদাম উপকারী। এমনটাই মনে করছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা।