
যোগ্য-অযোগ্য বাছাই বিতর্কের মাঝেই , যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে কে যোগ্য এবং কে অযোগ্য, তা চিহ্নিত করা সম্ভবএমনটাই শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে এসএসসি ।
সূত্রের খবর, এসএসসি আপাতত কেবল পরিসংখ্যানই পেশ করতে চলেছে । তবে তালিকা না জমা পড়ারই সম্ভাবনা বেশি।
খুব সম্ভবত সংখ্যাতত্ত্ব দিয়ে যোগ্য অযোগ্যের ফারাক বোঝাবে এসএসসি।যদি সুপ্রিম কোর্ট চাই তাহলে পরে তালিকা পেশ করা হবে।তবে আপাতত এসএসসি,সংখ্যাতত্ত্বে অযোগ্যদের পরিসংখ্যানই শীর্ষ আদালতে জমা করতে চলেছে ।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলটাই বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
একাধিকবার তলব করার পরও যেহেতু এসএসসি কিংবা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা আলাদা আলাদা ভাবে বাছাই করে দেওয়া হয়নি,
সেক্ষেত্রে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যোগ্যদের পৃথকভাবে চিহ্নিত করতে না পেরে, গোটা প্যানেলটাই বাতিল করে দেয়। তাতে চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন।
এসএসসি-র দাবি অনুযায়ী, এই ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের মধ্যে, পাঁচ হাজারের কিছু বেশি অযোগ্য প্রার্থী। এসএসসি অবশ্য সাংবাদিক বৈঠক করেছে এবং সেই বৈঠকে দাবি করেছে, সংখ্যাতত্ত্ব দিয়ে হাইকোর্টে অযোগ্যদের নাম ও রোল নম্বর সহ তালিকা তিন বার হলফনামা আকারে পেশ করা হয়েছে।
চাকরিপ্রার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে। সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছিল, যেহেতু আসল OMR শিট নষ্ট হয়েগেছে এবং OMR শিট এর স্ক্যানড কপিও সিস্টেমে রাখা হয়নি, সেক্ষেত্রে কিভাবে যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করে বাছাই করা সম্ভব হবে?
এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার , ”সুপ্রিম কোর্টকে আশ্বস্ত করে বলেন, যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন করা সম্ভব। যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই, অর্থাৎ যারা যোগ্য প্রাথী তাদের পরিসংখ্যান সুপ্রিম কোর্টে দেবেন।
তিনি আরো বলেন সুপ্রিম কোর্টের যা নির্দেশ, সেই মোতাবেক আমরা যা করার করব।” সূত্রের খবর অনুসারে , এবার সেই পরিসংখ্যানই সংখ্যাতত্ত্বের আকারে সুপ্রিম কোর্টে পেশ করবে এসএসসি।
‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীরা আপাতত তাদের চাকরি হারানোর জন্য আন্দোলনে রাজপথে নেমে এসেছেন। তবে এসএসসি-র দেওয়া তথ্যে সুপ্রিম কোর্টে এবার যোগ্য-অযোগ্য বিতর্কের নিরসন করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।