Benefits-of-neem-leaf-for-hair
Benefits-of-neem-leaf-for-hair

Benefits of neem leaf for hair: চুল ভালো রাখতে নিম পাতার ভূমিকা

Benefits-of-neem-leaf-for-hair
Benefits-of-neem-leaf-for-hair

Benefits of neem leaf for hair : চুলের যত্নে  নিমের উপকারিতা বহুমুখী।বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী নানান প্রতিকারে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই বিশেষ ঔষধি এটি শক্তিশালী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত । এই প্রাকৃতিক আয়ুর্বেদিক উপাদান চুলের যত্নে  খুবই স্বাস্থ্যকর। চুলে নিমপাতা ব্যাবহারের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা রয়েছে ।।

নিমপাতা চুলকে মজবুত এবং ঝলমলে করে তোলে। এছাড়া নিমে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের বৃদ্ধির জন্য উপযোগী আর এই কারণেই নিম পাতা এত জনপ্রিয়তা পেয়েছে।এটি মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং খুশকি দূর করে চুল পড়া রোধ করতেও নিমপাতার জুড়ি মেলা ভার।এছাড়া মাথার তালুতে নিম তেল ম্যাসাজ করলে চুলের গোড়া শক্ত হবে।   নিচে নিম পাতার চুলের জন্য উপকারিতা দেওয়া হোল Benefits of neem leaf for hair –

চুলের বৃদ্ধি বর্ধক হিসেবে নিম:

নিমের উচ্চতর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য এবং ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।এছাড়া নিমের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক গুণ স্কাল্পের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ভীষণ সাহায্য করে।নিমপাতা মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং চুলের গোড়ায় প্রবেশ করে চুলের ঘনত্ব বাড়ায়। নিম
চুলের ফলিকলগুলিকে শক্তিশালী করে এবং চুলকে স্বাস্থ্যকর করে তোলে।

খুশকি ফাইটার হিসেবে নিম:

খুশকি থেকে মুক্তি পেতে নিম অন্যতম কার্যকরী একটি উপাদান।বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই আয়ুর্বেদিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।মাথার ত্বকের প্রদাহ এবং একটি ছত্রাকের সংক্রমনের ফলে মাথায় খুশকি হয়।নিমের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য মাথার ত্বকে খুশকি এবং অন্যান্য অনেক সংক্রমণের প্রতিকার করে।

এছাড়া নিম তেল ও খুব উপকারী।নিমতেলে থাকা লিমোনয়েডস এবং নিম্বিডিন নামক ফাইটোকেমিক্যাল প্রদাহ এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল রোধ করে। নিমের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাবলী মাথার ত্বকে কিছু সোরিয়াসিস, একজিমা এবং অন্যান্য অনেক চর্মরোগের কারণে হওয়া জ্বালা এবং চুলকানি কমাতেও খুব উপকারী।

চুলের কন্ডিশনার হিসেবে নিম:

মাথার ত্বক এবং চুলের চিকিৎসার জন্য একটি চমৎকার ভেষজ হল নিম। নিম তেলে থাকা চুলের ময়শ্চারাইজিং গুণাবলির কারণে এটি ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। নিমতেল চুলকে মসৃণ ও চকচকে করে তোলে এবং চুলকে মজবুত করে ও চুলকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। নিম পাতার হেয়ার কন্ডিশনার তৈরি করতে নিমের পাতাকে জলে ফোটাতে হবে মধু মিশিয়ে চুলে লাগালে চুল খুশকি মুক্ত থাকে।

অকালপক্কতা রোধ করতেঃ

বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষেরই নানান কারনে খুব অল্প বয়সে চুল পেকে যায়। এই সমস্যা সমাধানে নিমপাতা ভীষণভাবে সাহায্য করে । নিমের মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অল্পবয়সে চুল পাকা বা অকালপক্কতার রোধ করে। অর্থাৎ চুলের রং বজায়1 রাখে এবং অসময়েই চুল সাদা হয়ে যেতে দেয় না।

চুলের অকালপক্কতা রোধ করতে নারিকেল তেলের সাথে নিমপাতা খুব ভালো করে ফুটিয়ে নিন। কুসুম গরম অবস্থায় খুব ভালো করে তেলটি চুলে লাগিয়ে নিন । এরপর ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং স্নানের সময় চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি চুলের অকালপক্কতা রোধ করতে সাহায্য করে।

চুল ছাড়াও নিমের আরো কিছু উপকারিতা আছে সেগুলো হল নিম পাতা চোখের রোগ সারাতে, কুষ্ঠ রোগ ভালো করতে ,রক্তাক্ত নাক ভালো করতে, কৃমির সমস্যা কমাতে, পেট খারাপ ভালো করতে, খিদে কমে যাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা ভালো করতে, ত্বকের আলসার এবং হৃদপিণ্ড এবং রক্তনালীর রোগ ভালো করতে, এছাড়া মাড়ির সমস্যা এবং লিভারের সমস্যা সমাধানে এর অবদান অনস্বীকার্য।শুধু তাই নয় নিম গাছের ছাল ম্যালেরিয়া, পেট এবং অন্ত্রের আলসার, নানা ধরনের চর্মরোগ এবং জ্বর নিরাময়ে বিশেষ সাহায্য করে।

যদিও আমরা ইতিমধ্যেই নিমের আরও অনেক উপকারী গুণাবলী সম্পর্কে জানি, তবুও নিমের তেল কীভাবে মাথার ত্বক এবং চুলের সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে সেটা বোঝার জন্য গবেষণা চলছে।

তবে আপনি যদি আপনার চুল নিয়ে কোনো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে নিম দিয়ে আপনার চুলের চিকিৎসা করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।

স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের টিপস পেতে  মেনু বাড়ে স্বাস্থ্য ট্যাব এ ক্লিক করুন

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *