Court judgement on OBC Certificate
Court judgement on OBC Certificate

Court judgement on OBC Certificate: ওবিসি সার্টিফিকেট সংক্রান্ত কি রায় দিল হাইকোর্ট

Court judgement on OBC Certificate

Court judgement on OBC Certificateইতিমধ্যেই এসএসসি মামলায় চাকরি যাওয়া নিয়ে গোটা রাজ্য তোলপাড় ,  এই মুহূর্তেই কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিলো ২০১০ সালের পর জারি হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হওয়ার । এই মুহূর্তে অনেকের মনে প্রশ্ন যারা ওবিসিস কোটার ভিত্তিতে চাকরিতে যোগদান করেছে তাদের কি ওবিসি সার্টিফিকেট থাকবে না নতুন করে ওবিসি সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে হবে ? 

ওবিসি সার্টিফিকেট কি ? 

ওবিসি কথার অর্থ হল অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী , অর্থাৎ যারা অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীভুক্ত তাদের সংরক্ষণের সুবিধা দিতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে শংসাপত্র হলো ওবিসি সার্টিফিকেট । এই মুহূর্তে ২০১০ সালের পর থেকে যত ওবিসি সার্টিফিকেট রয়েছে তা বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট । যথাযথভাবে আইন মেনে শংসাপত্র বানানো হয়নি বলে জানিয়েছে আদালত । 

ওবিসি সংরক্ষণে পাওয়া চাকরিজীবীদের কি কোন সমস্যা হবে ?

হাইকোর্টের নির্দেশে এ জানানো হয় যারা শংসাপত্র ব্যবহার করে সংরক্ষণের সুবিধা নিয়ে চাকরিতে যোগদান করেছে তাদের উপরের কোন প্রভাব পড়বে না । এই শংসাপত্র ব্যবহার করে যারা চাকরি পেয়েছে তাদের চিন্তার কোন কারণ নেই । তবে নতুন করে যারা চাকরির জন্য আবেদন করেছে বা চাকরিতে যোগদান করবে তাদের জন্য এই শংসাপত্র ব্যবহার করতে পারবে না । 

ওবিসি কারা ?

ভারতবর্ষে ও পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী শিক্ষাগত ও সামাজিকভাবে অন্যদের থেকে পিছিয়ে তাদের ভোরে নেওয়া হয় অগ্রসর শনি বা ওবিসি। এবং সেই সমস্ত সম্প্রদায় কে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারি চাকরি ও উচ্চশিক্ষায় সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবং এই সুবিধা যাতে ওই পিছিয়ে পড়া মানুষ পাই সেজন্য তাদের সরকার থেকে একটি শংসাপত্র দেওয়া হয় জাতীয় ওবিসি সার্টিফিকেট বলা হয়। 

ভারতবর্ষে স্বাধীনতা লাভের পর মণ্ডল কমিশনের ১৯৮০ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী , সেই সময় দেশের ৫২% , তবে পরবর্তীকালে ন্যাশনাল স্পেশাল সার্ভে অর্গানাইজেশন হওয়ার পর ২০০৬ সালে সেই সংখ্যা কিছুটা কমে ৪২ শতাংশ দাঁড়ায় , এবং এই ৪২ শতাংশ মানুষকে শংসাপত্র দাওয়াই তারা বিভিন্ন ধরনের সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে ও উচ্চশিক্ষার সুবিধা পান । 

কিছু সুবিধা দেওয়া হয় ওবিসি শ্রেণী অন্তর্ভুক্তদের ?

পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য ১৭ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। ওবিসি সংরক্ষণ কে কটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে যথা ক্যাটাগরি এ ও ক্যাটাগরি বি  তার মধ্যে ক্যাটাগরি এ  অন্তর্ভুক্ত ১০% সংরক্ষণের সুবিধা পান , এবং ক্যাটাগরির বি শ্রেণীর ভুক্তরা ৭ শতাংশ সংরক্ষণের সুবিধা পান । 

তবে পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে জাতীয় অনগ্রসর শ্রেণী কমিশন ওবিসি সংরক্ষণ কে বাড়িয়ে ২২ শতাংশ করার সুপারিশ করেছিলেন । তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি । 

পশ্চিমবঙ্গে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত কারা?

পশ্চিমবঙ্গে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির তালিকায় ১৭৯টি সম্প্রদায় রয়েছে। আর এই তালিকাকে দুটি ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হয়েছে। ক্যাটেগরি-এ এবং ক্যাটেগরি-বি। ক্যাটেগরি-এ হল অতিরিক্ত অনগ্রসর। আর ক্যাটেগরি-বি হল অনগ্রসর।

ক্যাটেগরি-এ’তে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ৮১টি জাতি। যার মধ্যে ৭৩টি জাতি মুসলিম। তার মধ্যে বৈদ্য মুসলিম, ব্যাপারী মুসলিম, মুসলিম ছুতোর মিস্ত্রি, মুসলিম দফাদার, গায়েন মুসলিম, মুসলিম জমাদার, মুসলিম কালান্দার, কসাই, মাঝি (মুসলিম), খানসামার মতো জাতিভুক্তরা রয়েছে।

ক্যাটেগরি-বি’তে ৯৮টি জাতির মধ্যে ৪৫টি মুসলিম। ক্যাটেগরি-বি’তে রয়েছে বৈশ্য কাপালি, বংশী বর্মণ, বারুজীবী, চিত্রকর, দেওয়ান, কর্মকার, কুর্মি, মালাকার, ময়রা, গোয়ালা, তেলির মতো জাতিভুক্তরা।

এখনো পর্যন্ত হাইকোর্ট জানিয়েছে ওবিসি সংরক্ষণে পাওয়া চাকরিতে কোনো সমস্যা হবে না । তবে পুরনো শংসাপত্র নতুন চাকরি যোগদানের ক্ষেত্রে কোনো কাজে লাগানো যাবে না এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *