Walking-benefit
Walking-benefit

Health benefits of walking:স্বাস্থ্যের জন্য হাঁটার উপকারিতা

Walking-benefit

Health benefits of walking, আমরা সবাই জানি হাঁটাহাঁটি করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো । ওজন ঠিক রাখতে হাঁটার গুরুত্ব আমাদের সবার জানা। হাঁটার মতো এমন চমৎকার শরীরচর্চা আর কিছু হয় না। প্রতিদিন বেশ কিছুক্ষণ হাঁটার অভ্যাস থাকলে দীর্ঘায়ু লাভ হয়,হাড়ের জয়েন্ট ঠিক থাকে তাই হাঁটার উপকারিতা অপরিসীম।

যেকোনো বয়সের মানুষের জন্য হাঁটার উপকারিতা বলে শেষ করার মতো নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রতিদিন হাঁটলে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে।এই হাঁটার অভ্যেস আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। নিয়মিত হাঁটলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে , আর ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি কমে।

এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে, সেইসঙ্গে বৃদ্ধি করে হজমশক্তিও। এটি হাড় এবং পেশীকেও শক্তিশালী করে। নিয়মিত হাঁটলে মানসিক চাপ দূর হয়। দিনে মাত্র 30 মিনিটের জন্য এবং সপ্তাহের হিসাবে মোট ১৫০ মিনিট হাঁটা আপনার শরীরের জন্য চমৎকার কাজ করতে পারে চলুন জেনে নেওয়া যাক হাঁটার কিছু উপকারিতা (Health benefits of walking)

1.মন ভালো রাখে:

নিয়মিত হাঁটা আপনাকে আরও সক্রিয়, উদ্যমী এবং সৃজনশীল করে তুলবে,আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে।নিয়মিত হাঁটলে তা স্নায়ু প্রক্রিয়া ঠিক রাখে, যা আপনার রাগ এবং আক্রমণাত্মক ব্যাবহার নিয়ন্ত্রণে রাখে। শীতকালে রোদে হাঁটা মনের জন্য ভীষণ উপকারী এটি আপনাকে বিষণ্ণতা থেকে মুক্তি দেয়।

সর্বোপরি হাঁটতে বের হলে আপনার জীবনের একঘেয়েমি দূর হয় ,আশেপাশের মানুষের সাথে সম্পর্ক ভালো হয় এছাড়া আশেপাশের মানুষের সাথে দেখা, সাক্ষাৎ ও গল্প করতে পারেন, যা মনের জন্য অনেক ভালো।

2. আপনার হজমশক্তি উন্নতি ঘটায়:

ভারী খাবার খাওয়ার পরে, টিভির সামনে সোফায় বসে সময় না কাটিয়ে 30 মিনিটের হাঁটাহাঁটি করতে পারেন এই অভ্যাসটি আপনার পরিপাকতন্ত্রে জিনিসগুলিকে গতিশীল করতে, স্বাস্থ্যকর রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে এবং হজমে সমস্যা কমাতে সহায়তা করে। তাই খাবার খাওয়ার পর চেষ্টা করুন একটু হাঁটাহাঁটি করতে।কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করতে হাঁটার ভূমিকা অনেকখানি।

3.ক্যালোরি ঝরায় ও ওজন কমায়:

গবেষণা অনুসারে, নিয়মিত হাঁটা ক্যালোরি বার্ন এবং ওজন কমানোর একটি চমৎকার উপায়। এরফলে ইনসুলিনের সঙ্গে শরীর সমন্বয় ভালো থাকে। হাঁটার মাধ্যমে, চর্বি হিসাবে সঞ্চিত ক্যালোরি ব্যবহার হয় এবং ওজন কমে।প্রতিদিন হাঁটলে অতিরিক্ত ক্যালোরি বার্ন এর মাধ্যমে পেশীর ক্ষতি রোধ হয় এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়, যেটি আমাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

’ হাঁটার সবথেকে ভালো দিক হলো, এর জন্য আলাদা কোনো যন্ত্রপাতি বা প্রশিক্ষনের প্রয়োজন হয়না।

4.ঘুম ভালো হয়:

ঘুমের সময় আমাদের শরীর সারাদিনের চাপ থেকে পুনরুদ্ধার করে। ভালভাবে বিশ্রাম নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ এতে আমাদের জ্ঞানীয় ফাংশনগুলিকে অপ্টিমাইজ করতে সাহায্য করে। যাইহোক, যদি ঘুম ভালো না হয়, তাহলে আপনার মস্তিষ্ক সম্পূর্ণরূপে পুনরুদ্ধার করে না এবং আপনাকে একটি ঘাটতিতে ফেলে।

তাই প্রতিদিন 30 মিনিট বা তার বেশি সময় ধরে হাঁটাহাঁটি করলে সেটি আপনাকে দ্রুত এবং গভীর ঘুমাতে সাহায্য করে এবং ঘুমের গুণমান বেশ উন্নত করে । হাঁটা ব্যথা এবং চাপ কমাতেও সাহায্য করে আপনাকে আরামদায়ক ঘুম প্রদান করে।

5.মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি করে:

হাঁটা চলা করলে শরীর পাশাপাশি মস্তিস্ক ও সক্রিয় থাকে।এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারানিয়মিত হাঁটেন তাদের মস্তিষ্কের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা যারা শিক্ষা সেমিনারে অংশ গ্রহণ করে তাদের তুলনায় ভালো। এটি খুব ভালো একটি শারীরিক ব্যায়াম। হাঁটা, বয়স্ক নারীর ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, নিয়মিত হাঁটার ফলে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি হয় যারফলে আমরা অনেক উপকার পাই।

6.দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়:

বিজ্ঞানীদের মতে রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সামগ্রিক ঝুঁকি কমাতে হাঁটা চলা ভীষণ উপকারী। নিয়োমিত হাঁটাচলা করলে রক্তচাপ এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। তাই রোগ প্রতিরোধের জন্য হাঁটা গুরুত্ব অপরিসীম।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *