Health tips
health tips

Health tips: কোন কোন খাবার আপনার লিভার কে রাখবে সুস্থ

Health tips

Health tips in Bengali: লিভার শরীরের সবচেয়ে বড় অভ্যন্তরীণ অঙ্গ।বর্তমান সময়ে , খাদ্যাভাসে অনিয়ম এবং শরীরচর্চার অভাবে লিভার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে । আমরা অতিরিক্ত তেলমশলা, ঘি, মাখন, অ্যালকোহল দেওয়া খাবার খাচ্ছি ফলে লিভারে চর্বি জমতে শুরু করছে।

অথচ লিভার শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনের শক্তি কেন্দ্র তাই লিভারের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।এটি খাবার হজম, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং রক্ত জমাট বাঁধা আটকানোর মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই লিভারকে সঠিক পুষ্টি দিয়ে তার যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। লিভার শারীরবৃত্তীয় কাজে অংশ নেওয়া নানান উৎসেচক ক্ষরণ এবং উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কিন্তু লিভারের ফ্যাটের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলেই স্বাভাবিক এই কাজগুলি ব্যাহত হয়। ফলে লিভারের অসুখ তো বটেই, সাথে অন্যান্য রোগও বাসা বাঁধে আমাদের শরীরে । জীবনযাপনে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি কয়েকটি খাবার নিয়মিত খেতে পারলে লিভারের সমস্যা অনেকটা কমানো সম্ভব।তাহলে চলুন জেনে নিন লিভার ভালো রাখতে কোন কোন খাবার নিয়মিত খাবেন।- পুরো কনটেন্টটি পড়ুন আপনাদের জন্য রয়েছে আরো কিছু Health tips 

কফি:

অনেকেরই কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে। কিন্তু কফি খেলে আমাদের শরীরের ক্ষতি হয় এই কথাটা আমারা প্রায় শুনে থাকি।পরিমিত কফি খেলে তার অনেক সুফল রয়েছে। গবেষণা জানাচ্ছে, পরিমিত কফি খেলে লিভারের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি অন্তত ১৪ শতাংশ কমে যায়।

সেক্ষেত্রে দুধ ও চিনি ছাড়া কফি খেতে হবে। এছাড়া কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভার ক্যান্সারের সম্ভাবনাও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।

ব্রকোলি:

বিদেশি সবজি হলেও ব্রকোলি দেশি সবজিতে জায়গা করে নিয়েছে । সবুজ রঙের এই সবজিটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এই সব্জিতে গ্লুকোসিনোলেট্‌স নামক একটি উপাদান থাকে যেটি লিভার থেকে ‘টক্সিন’ দূর করতে সাহায্য করে।

এছাড়া ব্রোকলিতে সালফার যুক্ত যৌগ আইসোথিওসায়ানেটের উপস্থিতি থাকে যেটি কাসিনোজেনগুলিকে দূর করতে এবং বিপককে উন্নত করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর মধ্যে থাকা বিশেষ উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এবং এই সবজিটি নিয়মিত খেলে লিভার সুস্থ থাকে।

গ্রিন টি:

প্রতিদিন এক কাপ গ্রিন টি পান করতে পারেন।গ্রিন টি-র মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে ।এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট লিভার ভালো রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।

শুধু তাই নয় শরীরের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, চুল, ত্বক, শারীরবৃত্তীয় নানা কাজে এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের ভূমিকা অনেক।ক্যান্সার প্রতিরোধেও এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সাহায্য করে।ফলে সুস্থ থাকতে ও লিভার ভালো রাখতে গ্রিন -টি খুব উপকারী । তবে গ্রিন-টি খুব বেশি খাবেন না, দিনে এক কাপ গ্রিন-টি পান করাই যথেষ্ট।

ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড:

ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার কিংবা মাছ লিভারের জন্য ভীষণ উপকারী। এই ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরকে নানা রকম প্রদাহ থেকে দূরে রাখে। সেইসঙ্গে উৎসেচকের ক্ষরণও ঠিক রাখে ।

তাই খাবারের তালিকায় বিভিন্ন রকম বাদাম, বীজ এবং সামুদ্রিক মাছ নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা।সামুদ্রিক মাছ ছাড়াও রাখতে পারেন ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত অন্যান্য মাছও। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড লিভারের পাশাপাশি হার্টেরও খেয়াল রাখে।

বিটরুটের রস:

লিভারের কার্যকারিতাকে সুস্থ রাখতে বিটরুটের রস একটি চমৎকার খাবার । বিটরুটের রসে নাইট্রেট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টকে বেটালাইন বলা হয়। এটি যকৃতের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস পরিচালনা করতে এবং লিভারের প্রদাহ কমাতে বিশেষভাবে সহায়তা করে।অনেক গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য বিটরুটের রস পান করার পরামর্শ দেন।এটি প্রাকৃতিক ডিটক্সিফিকেশনে সহযোগিতা করে এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে লিভারের এনজাইমগুলিকেও বাড়িয়ে তোলে।

বাদাম:

অনেকেরই ক্ষুধা পেলে একমুঠো বাদাম খাওয়ার অভ্যাস থাকে । কিন্তু তাই বলে মুঠো মুঠো বাদাম খাওয়া যাবে না । কারণ কোনো খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। বাদাম খেলে শরীরে অনেক ধরনের উপকার মিলবে।

বাদাম লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ই এর মতো পুষ্টি এবং ভিটামিন রয়েছে। বাদাম লিভারের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। বাদাম লিভারের এনজাইমের মাত্রা উন্নত করেএবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।যারা বেশি বাদাম খান তাদের নন-অ্যালকোহলযুক্ত লিভার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেককাংশেই কমে যায়।

অলিভ অয়েল:

জলপাই তেল বা অলিভ অয়েল আপনার লিভারের জন্য আরেকটি স্বাস্থ্যকর খাবার ।এটি আপনার লিভার এবং অন্যান্য অঙ্গের অনেক উপকার করে। খাবারের তালিকায় নিয়মিত অলিভ অয়েল রাখলে মিলবে বহু উপকার। অলিভ অয়েলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।

অলিভ অয়েল লিভারের এনজাইমের মাত্রা উন্নত করে যা লিভারের কার্যকারিতার উন্নতি ঘটাই। অলিভ অয়েলে কোনো ক্ষতিকর ফ্যাট নেই তাই এটি আপনার লিভারকে রোগ থেকে রক্ষা করে এবং লিভারে রক্তের প্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করে। সেইঙ্গে এটি বজায় রাখে লিভারের কার্যকারিতাও। এমনকি এটি আপনার হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

ওটস:

লিভারের জন্য উপকারী আরেকটি খাবার হলো ওটস। এটি লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং ভালো হজমে সাহায্য করে ‍। ওটসে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এছাড়াও এতে থাকা বিটা গ্লুক্যানস লিভারকে প্রদাহ থেকে রক্ষা করে। এছাড়া যাদের ডায়াবেটিস ও স্থুলতার মতো সমস্যা রয়েছে তারাও নিয়মিত ওটস খেতে পারে। 

 

বি দ্র: স্বাস্থ্য ভালো রাখার আরো Health tips পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের হোমপেজে গিয়ে স্বাস্থ্য ট্যাবে ক্লিক করুন 

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *