how to keep liver healthy
how to keep liver healthy

How to keep liver healthy: লিভার ভালো রাখার উপায়

how to keep liver healthy

How to keep liver healthy: লিভার হল শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। অনেকেই আছেন, যারা সারা বছর লিভারের নানান সমস্যায় যেমন-ফ্যাটি লিভার ,লিভার সিরোসিস, লিভার ফাইব্রোসিস ইত্যাদি অসুখে ভোগেন। এছাড়া লিভারের সমস্যা হলে হজম শক্তি কমে যায়।তাই লিভার সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। এই অঙ্গটি কিছু উৎসেচক ক্ষরণ করে যা আমাদের হজমে সাহায্য করে।

এছাড়া দেহ থেকে টক্সিন বের করতে এই লিভার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।তাই সুস্থভাবে থাকতে হলে লিভারের খেয়াল রাখতেই হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লিভার খারাপ হওয়ার কারণ আমাদের কিছু খারাপ অভ্যাস।

যেমন- ভুল খাবার খাওয়া,বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং খাওয়ারে অনিয়ম অর্থাৎ দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা।বিশেষ করে হাত না ধুুয়ে খাওয়া ও ঘুমে অনিয়ম এই সমস্ত অভ্যাস লিভারের ক্ষতির কারণ।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক লিভার সুস্থ রাখার  সহজ নিয়ম।

যে খাবার গুলি এড়িয়ে চলবেন ( How to keep liver healthy)

অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা:

লিভারের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অতিরিক্ত তেলমসলা খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।কারণ অত্যধিক তেল লিভারে গিয়ে ফ্যাট হিসাবে জমা হয় এবং ফ্যাটি লিভারের মতো অসুখ সৃষ্টি হয় অন্যদিকে অত্যধিক মশলা যকৃতে টক্সিসিটির কারণ হতে পারে তাই অতিরিক্তি মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।

লো ফ্যাট ফুড বাদ দিতে হবে:

দোকানে বা সুপারমার্কেটে গিয়ে লো ফ্যাট কিংবা ৯৯ শতাংশ লোয়ার ইন ফ্যাট লেখা ফুড ক্রয় করা অবিলম্বে ত্যাগ করতে হবে এবং লো ফ্যাট ফুড খাওয়া থেকেও সাবধান থাকতে হবে। কারণ, এসব খাবার থেকে ফ্যাট অনেকটা বাদ দেওয়া হয় ঠিকই, কিন্তু খাবারের স্বাদ ধরে রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণ চিনি যোগ করা হয়। এতে লিভারের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

স্ট্রেস থাকলে খাবার খাওয়া উচিত নয়:

মাঝেমধ্যে আমাদের মনে হয়, শরীরে এনার্জি কম লাগছে।বোর হলে, এনার্জি কম লাগলে কী করি আমরা? ঠিক তখন এনার্জি ফিরে পেতে বা মুড ঠিক করতে আমরা কিছু খাওয়া-দাওয়া করি, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন এই অভ্যাস একদমই ঠিক নয়।তাই লিভারকে সুস্থ রাখতে স্ট্রেসের সময় খাবার খাওয়া যাবে না।কারণ ওই সময় হজম ঠিক মত হয় না।

টক্সিন:

টক্সিন লিভারের ওপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। কারণ, এটি একপ্রকার বিষজাতীয়। যা মুখে দিলে ত্বকের মাধ্যমে সেই ক্ষতিকর বিষ রক্তে শোষিত হয়।অ্যালকোহল খেলে আমাদের লিভারে টক্সিন জমা হয় তাই অ্যালকোহল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।এছাড়া লিভার ভালো রাখতে হলে অবশ্যই স্প্রে, টক্সিন থেকে দূরে থাকতে হবে।

ওষুধ থেকে সাবধানঃ

বেশ কিছু ওষুধ আছে যেগুলি লিভারের ক্ষতি করে। এ সব ওষুধ থেকে দূরে থাকায় ভালো।যেমন- প্যারাসিটামল, আইসোনিয়াজিড়, মিথোট্রিক্সেট, ফিনাইটয়েন এবং ভ্যালপ্রোয়েট ইত্যাদি। এছাড়া কিছু পেনকিলার, যেমন টাইলেনল বা কোলেস্টেরলের ওষুধ লিভারের ভীষণ ক্ষতি করে। আবার কিছু ওষুধ আছে ডোজ ভিত্তিক ইনজুরি করে, সেই ওষুধ এর ডোজ একটি নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি হলে লিভারের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায় ।

লিভার সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয় উপাদান 

হেলদি ফ্যাট :

ফ্যাট শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। তাই লিভার সুস্থ রাখতে ফ্যাট ডায়েট থেকে একেবারে বাদ দিয়ে দিলে চলবে না। এতে লিভারের ক্ষতিও হতে পারে।তাই খাবরে হেলদি ফ্যাট রাখুন।যেমন- অলিভ, ওয়ালনাট ইত্যাদি।

ভিটামিন:

খাদ্য তালিকায় এমন খাবার রাখতে হবে, যা লিভার ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করবে। ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার যেমন কমলালেবু, মুসাম্বি, বাতাবি বা সাধারণ পাতিলেবুও লিভারের যত্নে খাওয়া যায়। এই ধরনের ফলে ফ্রি-র‌্যাডিক্যাল নামে পরিচিত অণুগুলিকে নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে।

ভিটামিন ডি ,বিপাকীয় লিভারের রোগ এবং প্রদাহজনিত রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।এ ছাড়া প্রোটিনে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিডও লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।প্রোটিন বা ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়ার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে,তা যেন অতিরিক্ত মাত্রায় না হয়ে যায়।

প্লান্ট প্রোটিন :

লিভারকে সুস্থ রাখতে সবচেয়ে বেশি জরুরি হচ্ছে সঠিক খাবার বাছা। লিভারের সমস্যা সমাধানে কিছু কিছু গাছে বা গাছের মূল খুব ভালো কাজ করে।অ্যানিমাল প্রোটিনের থেকে প্লান্ট প্রোটিন লিভারের জন্য বেশি ভাল । তাই ডাল, সবুজ শাক-সব্জি, বাদাম, ফাইবার ইত্যাদি খান।

এছাড়া হলুদের লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে তাই লিভার ভালো রাখতে খালি পেটে অনেকে কাঁচা হলুদ খেতে পারেন।

বি দ্রঃ স্বাস্থ্য ভালো তো জগৎ ভালো , স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে হোম পেজে স্বাস্থ্য টেবে ক্লিক করুন 

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *