
How to stay safe in hot weather , অতিরিক্ত গরমে কিভাবে স্বাস্থ্য কে ভালো রাখবেন
তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেকেরই নানা ধরনের অসুখ হয়ে থাকে।এ সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত জল ঘাম হয়ে বের হয় যায় ফলে আমাদের শরীর দূর্বল হয়ে পরে। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে অস্বস্তি, ডায়রিয়া, ফুড পয়জনিং সহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়।তাই এ সময় খাবার খেতে হবে সুষম ও পরিমিত চলুন জেনে নিই কি ধরণের খাবারগুলো গরমে আপনাকে সুস্থ রাখবে :-
Table of Contents
Toggleপানীয়:
1.পানীয় জল:
এই গরমে প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে তা নাহলে শরীর ডিহাইড্রেড হয়ে যাবে। গরমের সময় ঘাম ও প্রস্রাবের সাথে শরীর থেকে সোডিয়াম, পটাশিয়াম বের হয়ে যায় তাই প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে।
একজন পূর্ণবয়স্ক নারীর দিনে অন্তত ২.৫-৩ লিটার এবং একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের চার লিটার জল সরিয়ে প্রয়োজন হয় , তবে প্রত্যেক মানুষের ওজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জল পান করা উচিত । তবে এই নয় যে সমস্ত মানুষ একই রকম জল পান করবে , , যেমন বলতে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কিডনি রোগীদের জল পান করার উচিত , একজন কিডনি রোগী দিনে কত পরিমান জল পান করবে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নেওয়া উচিৎ ।
2.ডাবের জল:
ডাবের জল আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে বিদ্যমান থাকে প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইটস, যা শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করে এবং শরীরে জলের মাত্রা ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং পাশাপাশি ক্লান্তি দূর করে শরীর সতেজ রাখতে ও প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ করতে সাহায্য করে।
তাই গরমে স্বস্তি পেতে এবং শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত ডাবের জল পান করতে পারেন। অতিরিক্ত গরমে আমাদের শরীর ঘামটা থাকলে আমাদের শরীর থেকে জল নিসারিত হয় এবং শরীর জল শূন্য হয়ে পড়ে , যা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক , তাই অতিরিক্ত গরমে মাঝে মধ্যে ডাবের জল পান করা উচিত ।
একই সঙ্গে বলতে গেলে ডাবের জলে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল , কাইনিন হরমোন বিদ্যমান, তাই শরীরে কোন ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধলে তাকে ধ্বংস করতে ডাবের জল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
3.লেবু জল:
গরমের সময় তৃষ্ণা মেটাতে অন্য কোনো কোমল পানীয় না খেয়ে, লেবুর শরবত পান করলে তা শরীরের ক্লান্তি দূর করবে। লেবু জলে থাকে প্রচুর মাত্রায় পটাশিয়াম, যা রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এছাড়া পাকা লেবুতে থাকে ইলেকট্রোলাইটস যেমন পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি।গরমের সময় শরীরকে সতেজ রাখতে এর কোনো জুড়ি নেই।
সেক্ষেত্রে একদম সাধারণ জলে লেবুর রস মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। তবে যাদের হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ নেই, তারা স্বাদের জন্য সামান্য লবণও ব্যবহার করতে পারেন।
বিভিন্ন ধরনের পানীয়
1.আখের রস:
আখের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী। আখের রসের সঙ্গে সামান্য বিট লবণ এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর স্বাদ দ্বিগুণ বাড়ে সাথে আখের রসের পুষ্টিগুণও বাড়ে।
2.বেলের শরবত:
এত গরমে আপনি প্রায় খেতে পারেন বেলের শরবত।বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। এছাড়াও বেলে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার যা শরীরে অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণ করে।
3.কাঁচা আমের শরবত:
কাঁচা আম খুবই ভালো জলশূন্যতা দূর করার জন্য।কাঁচা আমে ভিটামিন-সি থাকে। কাঁচা আমে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এছাড়া ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়ামও আছে তাই কাঁচা আমের শরবত খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে এবং গরম কম অনুভব হয়।
4.পুদিনার শরবত:
শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং সতেজ রাখার জন্য পুদিনার শরবত অতুলনীয়।পুদিনা পাতার রস ত্বকের জন্যও ভীষণ উপকারী। স্নানের আগে জলের মধ্যে কিছু পুদিনা পাতা ফেলে রাখুন। সেই জল দিয়ে স্নান করলে শরীর ও মন চাঙ্গা থাকে।