Malda mango
Malda mango

Malda mango : গ্রীষ্মকালে পশ্চিমবঙ্গে এত আম আসে কোথায় থেকে

Malda mango
Malda mango

Malda Mango: ফল কার কাছে না প্রিয় ? তবে সব ফল সব মানুষের কাছে ভালো লাগে না , গ্রীষ্মকালে যে সমস্ত ফল পাওয়া যায়,  আম জাম কাঁঠাল , এগুলির মধ্যে বাংলায় কথিত আছে আম ফলকে ফলের রাজা বলা হয় , এমনকি ভারতবর্ষ ও বাংলাদেশের এটি জাতীয় ফল । এটি এমন একটি ফল যেটি কাঁচা এবং পাকা দুই অবস্থাতেই এটিকে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করা যায় । ভারতবর্ষে বিভিন্ন আমের নাম প্রচলিত রয়েছে  অর্থাৎ বৈচিত্রের বিচারে আম বিভিন্ন প্রকারের হয় যেমন হিমসাগর, চোষা, বউ সোহাগী, এছাড়াও ভারত বর্ষে আরও কিছু প্রকারের নানান প্রজাতির আম রয়েছে সেগুলো হল ল্যাংড়া, নাগ ফজলি, আলতাপেটি, রানি পছন্দ, দুধ সর, আম্রপালি, লক্ষ্মণভোগ, মল্লিকা, মিছরি দানা ।  

গ্রীষ্মকালে তাপের মাত্রা যত বাড়ে আমের চাহিদা ও তত বাড়তে থাকে , ভারতবর্ষের অন্তর্গত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে মানুষের বসবাস কম নয় , প্রায় সাড়ে নয় কোটি মানুষ , গ্রীষ্ম ও বর্ষাতে আম না খাওয়া পরিবারের সংখ্যা খুবই কম পশ্চিমবঙ্গ ।

Malda mango

পশ্চিমবঙ্গে আমের জনপ্রিয়তা ও খুবই । কিন্তু আপনার কি জানা আছে পশ্চিমবঙ্গে আমের ফলন সবচেয়ে বেশি কোথায় হয় ? ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পশুর পরিমাণে আম উৎপাদন হলেও পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলায় প্রচুর পরিমাণে আম উৎপাদিত হয় । পশ্চিমবঙ্গের বার্ষিক আমের উৎপাদন প্রায় 140,000 মেট্রিক টন। গোটা পশ্চিমবঙ্গে এত আম উৎপাদিত হতো এর বেশিরভাগ আম কিন্তু মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলায় । বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাংলাদেশে আবার আমের গাছকে জাতীয় প্রতীক চিহ্ন চিহ্নিতকরণ করা হয়েছে ।

আম ফল কেন খায় ?

বিভিন্ন ধরনের আম ফলের মধ্যে প্রায় সব আমি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যার বৈজ্ঞানিক নাম এসকরবিক অ্যাসিড । এটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে । । যেহেতু ভিটামিন সি আমাদের শরীরের সঞ্চয় থাকে না তাই ভিটামিন সি কে বিভিন্ন খারাপের মধ্যে দিয়ে আমাদের শরীরকে দিতে হয় । আম ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও পুষ্টি । এছাড়াও অন্যান্য ভিটামিনের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ , ভিটামিন ই , এর সঙ্গে রয়েছে কপার ফাইবার ও প্রোটিন । পাকা আমের থেকে কাঁচা আমের ভিটামিন সি মাত্রা বেশি থাকে । আম এমন এক প্রকারের ফল যাকে পাকা ও কাঁচা দু অবস্থাতেই খাওয়া যায় । 

রোগ প্রতিরোধ

আমের মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ও ভিটামিন-ই বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে গড়ে তুলতে সাহায্য করে । আমে থাকা ভিটামিন ই, কপার, ভিটামিন বি এবং ফলেট রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বিশেষ করে মরসুম পরিবর্তনের সময় মানুষ বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগে আক্রান্ত হয়, তাই এই সময় একটু বেশি মাত্রায় আমকে খেলে এই ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগে সহজে আক্রান্ত হবে না , বিশেষভাবে ইনফেকশন–জাতীয় সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে।

হৃৎপিণ্ডের সুস্বাস্থ্য

আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে হৃদপিন্ড একটি অন্যতম অঙ্গ ।  আমে রয়েছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম। এগুলো আপনার শরীরের কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর ফলে হৃৎপিন্ডের রক্তের আদান-প্রদান ভালো হয় ও হৃদপিন্ড ভালো থাকে । 

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *