
Benefits of watermelon , তরমুজ ফলের জনপ্রিয়তা গ্রীষ্মকালেই সবচেয়ে বেশি , তরমুজ এক প্রকারের খুবই উপকারী ফল
তরমুজ আকারে বড় এবং এটি আফ্রিকায় উৎপন্ন হয়। টকটকে লাল রসালো,সুস্বাদু এই ফল সবার কাছেই প্রিয় । এর পুষ্টিগুণও বেশ। স্বাস্থ্যের জন্য এই ফল খুবই উপকারী।এই ফলে জলের পরিমাণ বেশি হওয়ায় শরীরের অম্ল–ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখে, ক্লান্তিভাব দূর করে।
তরমুজ সিট্রুলাইন এবং লাইকোপিনের একটি আশ্চর্যজনক উৎস ।তরমুজে রয়েছে খনিজ লবণের উপস্থিতি।
ত্বক, চুল, দাঁত, হাড় ও নখের পুষ্টির জন্য খনিজ লবণও ভীষণ উপকারী।তরমুজ ওজন কমাতে সহায়তা করে তেমনি আপনার শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং আপনার কর্ম ক্ষমতাকে বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে ।
অতিরিক্ত চর্বি কমাতেও তরমুজ খুব দ্রুত মেজ কমাতে সহায়তা করে।রোগের ঝুঁকি কমাতে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার। তরমুজে বহু মিনারেল ও ভিটামিন থাকায় তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।তরমুজের কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা হলো-
Table of Contents
Toggle১. জলের চাহিদা মেটাতে সহায়তা করে:
তরমুজের মতো তরলযুক্ত ফল থেকে আসতে পারে পর্যাপ্ত জলের জোগান।তরমুজে ৯২ শতাংশ জল রয়েছে, যা দেহের দৈনিক তরলের চাহিদা পূরণে ভালো ভূমিকা রাখে।জলের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এই ফলটি শরীরের অম্ল–ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করে।এছাড়া শরীর সিক্ত রাখে, শরীরের তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণ করে, অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম এবং কোষে পুষ্টি প্রবেশের মতো বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করে।
২. পুষ্টিকর উপাদানে সমৃদ্ধঃ
তরমুজে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম,ভিটামিন ‘এ’ ও ভিটামিন ‘সি’ এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। এছাড়া তরমুজে রয়েছে খনিজ লবণের উপস্থিতি ।ত্বক, চুল, দাঁত, হাড় ও নখের পুষ্টির জন্য এটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তবে এতে ক্যালোরির পরিমাণ তুলনামূলক কম। এতে সিট্রুলিন নামে এক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে, যা ব্যায়ামের সময় কর্মক্ষমতা ভালো রাখতে সহায়তা করতে পারে।
৩.ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ
যদি আপনি আপনার ওজন নিয়ে চিন্তিত এবং ভাবছেন কীভাবে প্রাকৃতিকভাবে ওজন কমানো যায়, তাহলে আপনার ওজন কমানোর ডায়েটে এই স্বাস্থ্যকর ফলটি অবশ্যই যোগ করুন। যেহেতু এই ফলটিতে বেশিরভাগ জল থাকে, তাই এটি আপনাকে পূর্ণতার অনুভূতি দেয় এবং আপনার ক্ষুধা নিবৃতি করে। তাই আপনার ওজন কমানোর ডায়েটে এই রসালো ফলটি যোগ করুন।
৪. হৃৎপিণ্ডের সুস্থতাঃ
হার্টের রোগ থেকে মুক্তি দিতে তরমুজ অপরিহার্য একটি ফল।তরমুজে থাকা বিশেষ কিছু উপাদান হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। তরমুজে থাকা লাইকোপেন কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে
ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।কার্ডিওভ্যাসকুলার রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৫. দৃষ্টিশক্তি লোপ হওয়া প্রতিরোধঃ
আমাদের চারপাশের বিশ্বকে দেখতে এবং অনুভব করতে চোখের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ফলস্বরূপ, পরিষ্কার দৃষ্টি বজায় রাখতে তরমুজ ভীষণ উপকারী। তরমুজে থাকা উপাদান লাইকোপেন ও ভিটামিন সিচোখ ভালো রাখতে সাহায্য করেএবং UV ক্ষতি থেকে চোখকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
এটি বয়স জনিত দৃষ্টি শক্তি লোক পাওয়ার প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে , এর মধ্যে বিদ্যমান লাইকোপেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের দৃষ্টিশক্তি জনিত সমস্যা কে রোধ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ।
৬. ত্বকের স্বাস্থ্যঃ
ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখায় সহায়ক হতে পারেস্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য তরমুজ ভীষণ উপকারী। তরমুজে থাকা ভিটামিন ‘এ’ ও ভিটামিন ‘সি’ ত্বক সুস্থ সতেজ রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন ‘সি’ চুলের গোড়া শক্ত করে ও চুলকে শক্ত করে ধরে রাখতে সহায়তা করে । এমনকি লিওটোট্রাফিক হরমোনের মাত্রা কে বাড়িয়ে তোলে এবং ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে ও সূর্যের তাপে ত্বকে ট্যানকে দূর করতে ভুমিকা নেয় ।
অন্যদিকে ভিটামিন ‘এ’ , তেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ত্বককে ময়শ্চারাইজড এবং হাইড্রেটেড রাখে এবং ত্বকে নতুন কোষ উৎপাদনের পাশাপাশি কোষের ক্ষতিপূরণে সহায়তা করে।এতে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে এর ফলে বলিরেখা এবং সূক্ষ্ম রেখা কমে যায়, ত্বককে লাস্যময়ী এবং উজ্জ্বল করে তোলে।