
Neem leaf benefits : নিম (Azadirachta indica) হল একটি চিরহরিৎ গাছ ।যেই গাছটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ঔষধি উদ্ভিদের জন্য সুনাম অর্জন করেছে। নিম গাছ আয়ুর্বেদে প্রকৃতির ওষুধের দোকান নামেও পরিচিত। নিমের মধ্যে থাকা উপাদান যেমন খনিজ, ভিটামিন এবং ফ্যাটি অ্যাসিড, যা স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য খুব প্রয়োজন ।তাই নিমের ব্যাবহার ত্বকের যত্নের জন্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।ত্বক ভালো রাখতে নিমএর ব্যবহারও বহু পুরোনো।
সব ঋতুতেই এটি ব্যবহার করতে পারবেন।আমরা বলতেই পারি রূপচর্চার রুটিনে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ‘নিম’।কারণ ত্বকের ব্রণ, ব্ল্যাকহেড, বলিরেখা দুই4 করতে আমরা নিঃসন্দেহে নিম ব্যবহার করতে পারি।
নিম ব্যাবহারের ফলে আমাদের ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
Table of Contents
Toggleনিমের উপকারিতাসমূহ (Neem leaf benefits)
ত্বকের ইনফেকশন দূর করে:
নিম পাতায় থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাংগাল এবং অ্যান্টিভাইরাল উপাদান ত্বকের ইনফেকশন সারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর জন্য কয়েকটি নিম পাতা ভালো করে সেদ্ধ করে জল ছেঁকে স্নানের জলের সঙ্গে মিশিয়ে ,প্রতিদিন সেই জলে স্নান করলে ত্বকের ইনফেকশন ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।
এছাড়া নিমে নিম্বিডল এবং জেডুনিন আছে যা ফাঙ্গাস ইনফেকশন ধ্বংস করতে সাহায্য করে। ফাঙ্গাস ইনফেকশনের স্থানে নিম পাতার পেস্ট অথবা কয়েক ফোঁটা নিমের তেল দিনে তিনবার লাগালেও ক্ষত ভালো হয়ে যায়।
শুষ্ক ত্বক:
শুষ্ক ত্বকের জন্য হাইড্রেশন এবং পুষ্টির প্রয়োজন, এবং ত্বকেরএই চাহিদাগুলি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে নিম। একটি চমৎকার ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে নিম তেল।এটি হাইড্রেশনকে লক করে এবং আর্দ্রতা হ্রাস রোধ করে।
নিমের মধ্যে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই উপাদান ত্বকের লিপিড বাধা পূরণ করতে সাহায্য করে, ফলে ত্বককে নরম ও কোমল করে তোলে। শুস্ক ত্বক ভালো রাখতে অল্প পরিমাণ নিম পাতার গুঁড়োর সাথে কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল যোগ করে পুরো মুখে ভালোমত লাগান। কিছুক্ষণ রেখে দিন তারপর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন কিংবা দু’দিন এ ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন।
ব্রণ দূর করে:
ত্বকের সিবাকাস গ্ল্যান্ডের অতিরিক্ততা এবং ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া থেকে ব্রণের সৃষ্টি হয়।এই ব্রণ সারিয়ে তুলতে নিম পাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।নিমপাতা হলো একটি প্রাকৃতিক ব্রণ যোদ্ধা ।কারণ নিম এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী ব্রণ ভালো করতে পারে।
শুধু ব্রণের বিকাশ রোধ করায় নয় পাশাপাশি,ত্বকের লালভাব এবং প্রদাহ কমাতেও নিম ভীষণ কার্যকর।নিম পাতা ভালো করে সেদ্ধ করে সেই জলে একটি তুলার বল ডুবিয়ে পুরো মুখটা মুছে ফেলুন।এইভাবে বেশকিছুদিন ব্যবহার করুন নিম জল উপকার পাবেন । বিভিন্ন ধরনের ফেসপ্যাক এর মধ্যে শসা ও ের ফেসপ্যাক মুখের মধ্যে ব্যবহার করুন মুখের তৈলাক্ত ভাব অনেকটাই কমে আসবে , এছাড়াও টক দই ও নিমের মিশ্রণ হিসেবে মুখে ব্যবহার করতে পারেন ।
ব্ল্যাকহেড এবং মুখের গর্ত কমাতে:
মুখের ব্ল্যাকহেড, হোয়াইটহেড এবং বড় রোমকূপের সমস্যা সমাধানে নিম বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এসব সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে নিম পাতা গুঁড়োর সঙ্গে কমলালেবু খোসার গুঁড়ো মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। ওই মিশ্রণের সাথে অল্প মধু, দুধ এবং টক দই মেশান। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে অন্তত তিনবার ব্যবহার করুন । অন্যদিকে আপনার শুধুমাত্র ব্ল্যাকহেডের সমস্যা থাকলে আক্রান্ত স্থানে নিম তেল মালিশ করুন তাতেও বেশ খানিকটা উপকার পাবেন।
টোনার হিসেবে
নিম স্কিন টোনার হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি প্রত্যহ ব্যবহার করলে বলিরেখা এবং মুখের দাগ দূর করতে বেশ উপকারী। এটি মুখের কালচে ভাব কমিয়ে আনে এবং ত্বক মোড়ে তোলে উজ্জ্বল।নিম পাতা ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে।তার পর ছেঁকে নেওয়া নিম পাতার জল তুলার বলের সাহায্যে মুখে লাগালে এটি ব্রণের দাগ হালকা করে ত্বককে সুন্দর করে তুলবে। তৈলাক্ত ত্বক হলে নিম জলের সাথে গোলাপ জল মেশাতে পারেন।
বি দ্রঃ এছাড়াও আমাদের বিভিন্ন ধরনের রূপচর্চা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে পোস্টগুলি দেখতে মেনুতে স্বাস্থ্য ও রূপচর্চা ট্যাবে ক্লিক করুন
Ai dhoroner artical Khub e proyojon Khub sundar
Excellent content